থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর পটকা ও বাজি ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানোকে দণ্ডণীয় অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা চেয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেশব্যাপী আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়ে থাকে। এটি শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। এর আগে এক থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণশক্তি ও স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত, দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, কান ভোঁ ভোঁ করা, মাথা ঘোরা, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোক, হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াসহ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর ৭ নম্বর বিধি উল্লেখ করে বলা হয়, '৭ বিধি লঙ্ঘন করে অননুমোদিতভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপনের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটালে তা বিধিমালার ১৮ বিধি অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য।
'এই আইন ভাঙলে প্রথম অপরাধের জন্য অনধিক ১ মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ৬ মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে।'