ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আজ রোববার পেন্টাগনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের অস্ত্রাগারে আক্রমণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।
তাদের দাবি অনুযায়ী, সেখানে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে চলাচলকারী সামরিক ও বেসামরিক জাহাজগুলোতে আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে অস্ত্র মজুত করেছিল হুতিরা।
ইয়েমেনের আল মাসিরাহ টিভির বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, রাজধানী সানার দক্ষিণে অবস্থিত আল সাবিন জেলা লক্ষ্য করে তিন দফা মার্কিন ও ব্রিটিশ বিমান হামলা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে ইসরাইলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তাদের হাতে জিম্মি হন প্রায় ২৫০ মানুষ।
এ ঘটনার পর থেকেই হামাসকে নির্মূলের জন্য গাজায় সর্বাত্মক হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
মার্কিন বিমানবাহিনীর সবচেয়ে আধুনিক বোমারু বিমান নরথ্রপ বি-২ স্টেলথ বম্বার। ফাইল ছবি: মার্কিন বিমানবাহিনীর ওয়েবসাইট থেকে
এ বছরের সেপ্টেম্বরে লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল।
গাজার যুদ্ধের শুরু থেকেই লোহিত সাগরে ইসরাইল সংশ্লিষ্ট মালবাহী জাহাজে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরাইলি নৌযানে হামলা চালাচ্ছে তারা।
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক ও নৌ জাহাজের ওপর এসব হামলার জেরে গত জানুয়ারি থেকে অনেকবার হুতি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ আরও বেশ কয়েকটি পশ্চিমা মিত্র দেশ।
গতকালের হামলা এই উদ্যোগের সর্বশেষ নজির।
গত এক বছরে লোহিত সাগরে শতাধিক হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা, যাতে এখন পর্যন্ত চার জন নিহত হয়েছে এবং দুটি জাহাজ ডুবেছে। গত নভেম্বরে হুতিরা একটি জাহাজের দখল নিয়ে নেওয়ার পর এর কর্মীরা এখনো তাদের কাছে আটক রয়েছে।