আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষ অবর্ণণীয় অবস্থায় রয়েছেন। কোনো মানবিক উপকরণই নেই গাজার নাগরিকদের জন্য। বিপুল সংখ্যায় শিশু, মহিলা এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন এই পরিস্থিতিতেই।
জাতিসংঘের রিপোর্ট জানাচ্ছে, গাজায় নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগের রিপোর্ট জানাচ্ছে যে ২০২৩’র নভেম্বর থেকে এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের বেশিরভাগই পাঁচ থেকে নয় বছরের শিশু।
ফিলিস্তিনের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ লেবাননেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। গত চব্বিশ ঘন্টায় এই দেশটিতেও অন্তত ৫২ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাচ্ছে লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রক।
হামাসের হামলার পর গাজায় গত বছরের অক্টোবরে পূর্ণমাত্রায় সামরিক আগ্রাসন নামায় ইসরাইল। কিন্তু, পর্যবেক্ষকদের বড় অংশই মনে করিয়েছেন সেই হামলা ছিল আসলে অজুহাত। জাতিবিলোপ এবং দখলদারির জন্য কয়েকদশক ধরে প্যালেস্তাইনে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
গত একবছরে গাজায় যা চলেছে তাকে নিছক আগ্রাসন বলতেও নারাজ বিশ্ব জনমতের বড় অংশ। ইসরাইলকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে গণহত্যার দায়ে।
নরওয়ের ত্রাণ সংস্থা নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মহাসচিব জ্যান এজেল্যান্ড সম্প্রতি গাজায় যান। ব্রিটেনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, “একের পর এক ঘন জনবসতির এলাকা স্রেফ বাসের অজোগ্য হয়ে গিয়েছে। বেঁচে থাকার ন্যূনতম অবস্থাও নেই।”
এজেল্যান্ড বলেছেন, “অসংখ্য পরিবার, প্রিয়জন হারানো মানুষ যে অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন, অন্তত আধুনিক ইতিহাসে তার কোনও নজির নেই।”
এজেল্যান্ড বলেছেন, “ইসরাইল এই আগ্রাসন চালাতে পারছে পশ্চিমের দেশগুলির মদতে।”
গাজায় প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ গৃহহীন, আবাসহীন। খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ, চিকিৎসা কিচ্ছু নেই। উদ্বাস্তু মানুষ যেখানে আশ্রয় নিচ্ছেন ইসরাইলের সেনা সেখানেই ঘর ছাড়ার ফতোয়া দিচ্ছে।