ঢাকা: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিরোধে রাতেই রাজধানীর জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে শতাধিক ছাত্র-জনতা।
শনিবার দিবাগত রাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিরো পয়েন্টে জড়ো হন।
আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রোববার 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টে আসার ডাক' কর্মসূচি ঘোষণা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একই জায়গায় পাল্টা গণজমায়েত ঘোষণা করে। দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।
জিরো পয়েন্টে গণঅধিকার পরিষদ অবস্থান গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান বলেন, “শেখ হাসিনা এবং তার দলের নেতাকর্মীরা যে ভাষায় গোপন মিটিং করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, ইস্ট-ওয়েস্ট, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পুড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে, আমরা এটা জানার পর থেকে শঙ্কিত। কারণ এদের বিশ্বাস নেই, এরা মানুষ মারতে দ্বিধা করে না।”
তিনি বলেন, “আমরা জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছি। আমরা তাদের সাহসের মাত্রা দেখতে চাই।”
এ ছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ব্যানারে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
পল্টন থানা পুলিশ জানিয়েছে, তাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে।
‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা’র দাবিতে জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে আগামীকাল বেলা তিনটায় বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। আজ দলটির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথাগুলো জানানো হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তারা ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে’ রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।