এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার সেনার প্রকাশ্য উপস্থিতি দেখা গেল ইউক্রেন যুদ্ধে। ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার সীমান্ত কুরস্কে উত্তর কোরিয়ার সেনার উপর তাদের সেনা গোলাবর্ষণ করেছে। এর আগে ইউক্রেন বার বার অভিযোগ করছিল, উত্তর কোরিয়ার সেনা রাশিয়ার পক্ষ নিয়ে লড়াই করছে।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনার প্রকাশ্য উপস্থিতি এই যুদ্ধে নতুন অধ্যায় খুলে দিল। এর ফলে বুঝতে হবে, রাশিয়া একা নয়, তার বন্ধু দেশও যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। অর্থাৎ, এর ফলে ভূরাজনীতির পট পরিবর্তন হলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরভ জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনার সঙ্গে তাদের একটি ছোট সংঘর্ষ হয়েছে। আরেক প্রশাসনিক কর্তার দাবি, কুরস্কে উত্তর কোরিয়ার সেনার উপর তাদের সেনা গোলাবর্ষণ করেছে। গত তিন মাস ধরে এই অঞ্চলে তীব্র লড়াই চলছে। রাশিয়ার ওই অংশের কার্যত দখল নিয়েছে ইউক্রেনের সেনা।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি তার বন্ধু দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। এক মাস আগেই ইউক্রেনের অভিযোগের ভিত্তিতে তারা পদক্ষেপ নিয়েছিল। রাশিয়াকে সরাসরি যারা এই যুদ্ধে সাহায্য করছে, তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, “ইউক্রেন এবং সহযোগী দেশগুলিকে তীব্র লড়াই করে রাশিয়ার এই পদক্ষেপ বদলে দিতে হবে। এই যুদ্ধ যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে, তা লক্ষ্য রাখা দরকার।”
ইউক্রেন এই খবর দেওয়ার আগেই মঙ্গলবার জি সেভেনের নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের সেনা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করলে এই লড়াই আরো প্রসারিত হবে। বাস্তবে দেখা গেল সেই ঘটনাই ঘটছে।
আমেরিকা, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, ইটালি এবং ক্যানাডার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার অংশ গ্রহণ এক মারাত্মক ঘটনা। এর ফলে এই যুদ্ধ আরো প্রসারিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলো।
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র এবং মিসাইল দিয়ে সাহায্য করছে।