নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হজম হচ্ছে না ভারতীয়দের। কিউইদের বিপক্ষে এর আগে নিজেদের মাঠে কখনোই যেখানে সিরিজ হারেনি, ম্যাচ হেরেছে স্রেফ দুটি। সেখানে এবার টানা তিন টেস্ট হার যেন বজ্রপাতের মতন। এমন হারে ব্যাটিং ব্যর্থতাই সবচেয়ে বড় কারণ। আর তাতে প্রশ্নের মুখে পড়ছেন দুই সিনিয়র বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।
শনিবার মুম্বাই টেস্টে রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ভারত হারে ২৬ রানে। ১৪৭ রান তাড়া করতে গিয়েই ব্যাটিং ধসে পড়ে স্বাগতিকরা। স্পিনের বিপক্ষে দেখা যায় নাজুক অবস্থা। ভারতের বেহাল অবস্থার দায় বড় দুই ব্যাটার রোহিত-কোহলিরই বেশি।
পুরো সিরিজে ৬ ইনিংস মিলিয়ে কোহলি করতে পারেন মাত্র ৮৯ রান। এরমধ্যে বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে করেছিলেন ৭০ রান। ৪ ইনিংসে তিনি আউট হন এক অঙ্কের ঘরে। রোহিত ৬ ইনিংসে করেন ৯১ রান। তিনিও প্রথম টেস্টে ৫২ রানের একটা ইনিংস খেলেছিলেন, আর কোন ইনিংসে ২০ রানের গণ্ডিও পার হননি।
এই দুজনের রান খরা মৌসুম জুড়েই চলছে। ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে আরেকটু পেছনে গিয়ে দুজনের খতিয়ান নিয়ে দিয়েছেন পোস্ট, 'কোহলি ১০ ইনিংসে ১৯২ রান, রোহিত ১৩৩। বড় এই দুজনের জন্য ভুলে যাওয়ার মতন ঘরের মৌসুম।'
এই দুই তারকার অনুশীলন ঘাটতি নিয়েও আলোচনা চলছে। ভারতীয় এক গণমাধ্যম জানিয়েছে লম্বা সময় পর টেস্ট খেলতে নামায় বাংলাদেশ সিরিজের আগে তাদের দুলীপ ট্রফি খেলতে বলা হয়েছিল। প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার সে অনুরোধ করেছিলেন। সেপ্টেম্বরে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর আসরে খেলতে নিজেদের অনুপ্রাণিত করতে পারেননি তারা।
সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সুনিল গাভাস্কার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন এই দুজনের আরও প্রস্তুতির দরকার ছিলো, 'তাদের আরো কিছু অনুশীলন দরকার ছিলো অবশ্যই। লম্বা বিরতি দিয়ে খেলতে নেমেছে। আমি জানি আমরা বাংলাদেশকে হারিয়েছি। তখন ভাবনা আসতে পারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কাজটা সহজ। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের অনেক ভালো দল, তাদের খেলোয়াড়রা ভারতে নিয়মিত খেলে, এটা মাথায় রাখা উচিত ছিলো।'
ভারতের পরের সিরিজ আরও কঠিন। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবেন রোহিত শর্মারা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে প্যাট কামিন্সদের ডেরায় জিততে হবে ৪-০ ব্যবধানে। যা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি।