দ্বিতীয়ার্ধে সঙ্গীতা বাসফোরের লক্ষ্যভেদে এগিয়ে গেল ভারত। এরপর ভুটানের রেফারি ওম চকির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তৈরি হলো তীব্র নাটকীয়তা। নেপালের একটি গোল বাতিল হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে দর্শকরা নানা জিনিসপত্র নিক্ষেপ করতে লাগলেন মাঠে। এতে এক ঘণ্টার বেশি সময় বন্ধ থাকল খেলা। ফের চালু হওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে সমতা টানলেন নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি। এরপর উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানে ভারতকে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠল নেপাল।
রোববার ঘটনাবহুল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কাঠমুন্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়। এরপর পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ গোলে জিতে বাঁধনহারা উল্লাসে মাতে ১০ জনে পরিণত হওয়া স্বাগতিকরা।
টাইব্রেকারে নেপাল চারটি শট নিয়ে সবকটিই জালে পাঠায়। সাবিত্রা, গিতা রানী, সাবিতা রানা মাগার ও আমিশা কারকি করেন লক্ষ্যভেদ। ভারতের পক্ষে জালের দেখা পান মনীষা ও কারিশমা সিরভোইকর। তবে অধিনায়ক আশালতা দেবীর প্রথম শটটি বাধা পায় পোস্টে। আর রঞ্জনা চানুর নেওয়া চতুর্থ শটটি ছিল দুর্বল। সেটা সহজেই রুখে দেন টাইব্রেকারের জন্যই বদলি নামা নেপালের গোলরক্ষক অঞ্জনা রানা মাগার।
আগামী বুধবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে নেপাল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। এদিনই প্রথম সেমিতে ভুটানকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে আগেই শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সাফের গত আসরেও ফাইনাল হয়েছিল দুই দলের মধ্যে। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।