ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছেন বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ইতালি বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান সালামের সংবর্ধনা ও সাংবাদিকতা বিকাশে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র সরাসরি বা অফিশিয়াল যেকোনো মাধ্যমে জমা দিতে পারেন, ফিজিক্যালি তিনি উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। শেখ হাসিনা তার পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর কাছে জমা দিয়েছেন, যা চরম সত্য। পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি সংবিধানের অধীনে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। এই পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু অফিশিয়াল ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে আড়াই মাস পর রাষ্ট্রপতি চুপ্পু বলেন- পদত্যাগপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদি পদত্যাগপত্র হারিয়ে যায়, এর সম্পূর্ণ দায়ভার রাষ্ট্রপতির ওপর বর্তায়। তিনি সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছেন বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে পদত্যাগপত্র সরিয়ে ফেলেছেন। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা বাস্তবতা এবং এটি নিয়ে আর কোনো বিতর্ক থাকা উচিত নয়।”
তিনি বলেন, “গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। তিনি এটিকে অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন, যা টিভিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়েছে। তখন রাষ্ট্রপতি বলেন- তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পেয়েছেন।”
রিপন বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে মিডিয়া, টেলিভিশন পত্র-পত্রিকার ওপর সরকারি সংস্থার চাপের কারণে তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। শত চাপের মুখেও কিছু মিডিয়া সত্য কথা তুলে ধরেছে। মিডিয়া হাউস ও মালিকদের প্রতি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানান তিনি।
জিয়া প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুব বিষয়ক সহসম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জিয়া প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেল।