রাজধানীতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে সবজিসহ কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ঢাকার ২০টি এলাকায় এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সকাল ৮টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সেচ ভবন থেকে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। পণ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন বিক্রি চলবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই কাজ চলবে। গাবতলী, মিরপুর ১০, মোহাম্মদপুর, খাদ্য ভবনের সামনেসহ ২০টি জায়গায় ট্রাক থেকে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার খামারবাড়ি এলাকায় খাদ্য ভবনের সামনে ট্রাক থেকে কৃষিপণ্য বিক্রি করা হয়। সেখানে ৬৫০ টাকা প্যাকেজে দেওয়া হচ্ছিল ১০টি পণ্য। এর মধ্যে ছিল ডিম এক ডজন, আলু এক কেজি, পেঁয়াজ এক কেজি, পেঁপে এক কেজি, কুমড়া এক টুকরো, করলা এক কেজি, পটল এক কেজি, লাউ এক টি, কচুর মুখি এক কেজি ও কাঁচা মরিচ এক কেজি।
আজ সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর খাদ্য ভবনের সামনে কৃষি ওএমএস কর্মসূচি উদ্বোধন করে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোক্তারা যাতে সুলভ মূল্যে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু পায় সেজন্য আমাদের এ প্রচেষ্টা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আমরা ন্যায্যমূল্যে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, সবজি যেন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি সেজন্য এ কার্যক্রম নিয়েছি।
নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও উদ্বেগের মধ্যে সরকার এই উদ্যোগ চালু করল। এর মধ্যে বাজারগুলোতেও অভিযান চালাচ্ছে টাস্কফোর্স।
সম্প্রতি ডিম ও বিভিন্ন সবজির দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আরও ডিম আমদানি এবং বিভিন্ন নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি চিনির শুল্ক কমানো হয়েছে। গত ৯ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চিনি আমদানিতে শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করে। অপরিশোধিত চিনির আমদানি খরচ প্রতি কেজিতে ১১ টাকা ১৮ পয়সা এবং পরিশোধিত চিনির খরচ ১৪ টাকা ২৬ পয়সা কমানো হয়েছে।