ভারতের হরিয়ানার বিধানসভার ফলাফল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এই ফলাফল স্বীকার করাও যায় না। হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা।
গণনা প্রক্রিয়ায় কার্যত কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বিশদে অভিযোগ তথ্য সহ নির্বাচনে কমিশনে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হরিয়ানায় কংগ্রেসের সরকার গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রচুর আলোচনা হলেও তা হয়নি। ৯০ আসনের বিধানসভায় স্পষ্ট গরিষ্ঠতার জন্য দরকার ছিল ৪৫ আসন। কংগ্রেস থেমে গিয়েছে ৩৭ আসনে। দিনশেষে ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বিজেপি ৪৮, আইএনএলডি ২, অন্যান্য ৩ আসন পেয়েছে। বিজেপি তৃতীয়বার টানা সরকার গড়ছে রাজ্যে।
খেরা বলেন, “হরিয়ানা নির্বাচনের ফল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। হরিয়ানার তিনটি জেলা থেকে সমানে অভিযোগ আসছে। হিসার পানিপথ ও মাহেন্দরগড় থেকে লাগাতার অভিযোগ গুলি আসছে। ইভিএম মেশিনের ব্যাটারির চার্জ কী ভাবে ৯৯ শতাংশ থাকতে পারে। যে মেশিনের ব্যাটারি ৯৯ শতাংশ সেগুলির ফলাফল আমাদের বিরুদ্ধে গেছে। আর যেই ইভিএম মেশিনের ব্যাটারির চার্জ ৬০-৭০ শতাংশ মানে স্বাভাবিক, সেই গুলিতে আমরা জিতেছি।”
কংগ্রেস মুখপাত্রের ইঙ্গিত ৫ অক্টোবর ভোটদানের পর এই মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে যাত চার্জ তিনদিন পরও ৯৯ শতাংশ ছিল। এদিন ভোট গণনার মাঝেই শ্লথ ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। কমিশন যদিও পালটা বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ খারিজ করেছে। তবে ৫ অক্টোবর রাতে কমিশন ভোটদানের হার জানানোর পর চূড়ান্ত ঘোষণায় তা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মহল।
খেরা আরও বলেন, “আমরা সব অভিযোগ গুলিকে এক জায়গায় আনছি। আমাদের প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসারদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু আমরা কিছু দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনারের কাছে যাবো এবং আমাদের অভিযোগ জানাবো। এই অপ্রত্যাশিত ফল আমরা কেউ আশা করিনি। এক কথায় বলা যায় এই ফলাফলে স্বৈরতন্ত্র জিতেছে, গণতন্ত্র হেরেছে। একে আমরা স্বীকার করি না।”
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১০টির মধ্যে ৫ আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস। তারপর থেকেই হরিয়ানায় জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে জোরালো আলোচনা ছিল। বিধাণসভা ভোটেও বিজেপি বিরোধী ক্ষোভ দেখা গিয়েছে রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকায়। তবে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব এড়ানো যায়নি এই ভোটেও।