ব্রাহ্মণবাড়িয়া: সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) উম্মে ফাতেমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদের আট রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত।
আজ সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালতের বিচারক স্বাগত সাম্য তার রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় সরাইল বিশ্বরোড মোড় এলাকায় কাটানিশার গ্রামের বাসিন্দা অটোরিকশা চালক লিটন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি শিউলী আজাদ। গত ৩ সেপ্টেম্বর সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
৬ অক্টোবর ঢাকার নিকেতনের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ শিউলী আজাদকে গ্রেফতারের পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান খান পাঠান তার ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন।
আসামির উপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সরাইল থানা সূত্রে জানা যায়, একই মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ৬৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শিউলী আজাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম ইকবাল আজাদের স্ত্রী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতে ইকবাল আজাদ খুন হওয়ার দুই বছর পর ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর শিউলী আজাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।