ঢাকা: সাংবাদিক দম্পতি সাগর - রুনি হত্যা মামলায় নতুন আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মামলার বাদী নিহত রুনির ভাই নওশের রোমান দুপুরে বলেন, “এতো বছর আমরা আসলে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। বিচার চাওয়াও লজ্জাজনক ব্যাপার মনে হচ্ছিল। ওই সরকার যেহেতু নেই তাই মনে করছি কিছু হতে পারে।”
নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী শিশির মনির দুপুরে হাইকোর্টে সাংবাদিকদের জানান, এ মামলার নতুন করে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দিতে আদালতে আবেদন করা হবে। এতোদিন এ মামলার তদন্তের ভার র্যাবের হাতে ন্যস্ত ছিল। এখন পর্যন্ত শতবারের বেশি সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সংস্থাটি।
মি. মনির বলেন, “সবচেয়ে বড় একটা ক্লু এখানে আছে। সেটি হলো দুজন ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। এই দুজন ব্যক্তিকে সনাক্ত করা প্রয়োজন।”
“যেহেতু সাগর-রুনির মৃতদেহের সঙ্গে এই ডিএনএর উপস্থিতি পাওয়া গেছে সুতরাং সাইন্টিফিক এভিডেন্স এবং সাইন্টিফিকভাবে এটাকে ইনভেস্টিগেট করলে এ দুজন ব্যক্তিকে সনাক্ত করা সম্ভব। এটার উপর আমরা জোর দেয়ার চেষ্টা করবো” বলেন শিশির মনির।
একইসাথে বিচারিক আদালতে আবেদন করে দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান আইনজীবী।
আগামী ১৩ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরবর্তি দিন রয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রাজারবাগে নিজ বাসা থেকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির মরদেহ উদ্ধার হয়। ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় তাদের।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজারবাগে নিজ বাসা থেকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির মরদেহ উদ্ধার হয়।