নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গামেন্টস কর্মী মনিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি বুধবার সকালে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জের সবগুলো থানায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, জুনায়েদ আলম পলকসহ শীর্ষ নেতাসহ শামীম ওসমান ও অনুসারীদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে। তবে কোনটিতে আইভীর নাম ছিল না। আইভির বিরুদ্ধে এটি প্রথম মামলা।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, কায়সার হাসানাত, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মতি, নূর উদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, শাহ নিজাম, আইভীর ভাই শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জল, সাংবাদিক রাজু আহাম্মদ, অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন, কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল সহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ ও আরো অজ্ঞাত আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে ১ নং আসামি ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সারা দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার নির্দেশ দিলে ২নং হতে ৫নং আসামির নেতৃত্বে ৩০০/৪০০জন আওয়ামী সন্ত্রাসী বন্দুক, সর্টগান, পিস্তল, তলোয়ার, রামদা, চাপাতিসহ অত্যাধুনিক দেশী ও বিদেশী অস্ত্র-সস্ত্র ছাত্র জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টাকালে আদমজী রোডে আল-আমিন নগর পাওয়ার হাউজের সম্মুখে তাদের হাতে থাকা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আসামিরা তাদের সঙ্গে থাকা আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে চারদিকে গুলি ছুড়তে থাকে। আমার ভাই মিনারুল ইসলাম একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুজিব ফ্যাশনের সামনে গেলে সংঘর্ষের মধ্যে পরে গেলে ২নং আসামি শামীম ওসমান তার হাতে থাকা আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। সেই গুলিতে আমার গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পরলে তাকে তার সঙ্গে থাকা মো. সাইদুল ইসলাম, কাওসার ও ডালিম মোল্লা অটোতে করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।