মুক্তিযুদ্ধের ট্রামকার্ড
বুকের ভেতরটা শূন্য হয়ে গেছে
শরীরের যাবতীয় রক্ত নিথর
ভীষণ ঘুম চোখে তবু জেগে থাকি
কতো স্বর্ণমুখ কতো মৃতের ছবি
পিশাচের অবিরল বিকৃত হাসি
কতো আর দেখবে এই বাংলাদেশ!
এই মাটি একদিন আমার ছিলো
বাতাসে ছিলো শুদ্ধ অনাবিল প্রাণ
নতুন হানাদার লুটে নিলো সব
মুক্তিযুদ্ধ ট্রামকার্ডে ধ্বংস বিবেক।
আমরাও দিয়েছি প্রাণ একাত্তরে
কষ্ট চেপে মা বিমূর্ত ছবি আঁকেন
তোমরা কেউ এই জননীর হাতে
তুলে দিতে পারো একটি মুক্ত ভূমি।
আমাদের স্বাধীনতার নাম বন্দি
ফন্দি আঁটা বন্দুকের হুহুংকার
বাকরুদ্ধ কণ্ঠের নিত্য আহাজারি
আমাদের কলমে রক্ত কান্না ঝরে
আইন চোখ বাঁধা পোষ্য ঠিকাদার।
তোমরা কি ভুলে গেছো ঊনসত্তর
নব্বইয়ের সেই গণঅভ্যুত্থান
স্বৈরাচারীরা বাঁচে নাই কোনোদিন
এই দেশ ওদের করে নাই ক্ষমা
সুতরাং নেংটি পরা বৃদ্ধা হায়না
এ দেশ ছাড়, খুঁজে নে নয়া ভাতার
১৩ জুলাই ২০২৪
লিমিটেড কোম্পানি
হঠাৎ করেই শেয়ারের দাম পড়ে গেলো
কিছু পুঁজিপতি নপুংশক দালালের মুখে
কালো মেঘ, তবু কোম্পানির চোখে
ফেরাউন ভেসে ওঠে বারবার।
চেতনার ঘরে কালসাপ খেলা করে
ছোবলে ছোবলে বিষাক্ত এখন বাংলার সন্তান।
যুবারা তবু কাঁধে কাঁধ উন্নতশিরে
নজরুলের কবিতা মগ্নতায়
নূর হোসেনের খোলা বুক হয়ে দাঁড়িয়েছে পথে
দেখ যাও ওসমানী, দেখেছো তাজউদ্দীন
তোমাদের মৃত্তিকায় রক্তের গঙ্গায়
ভেসে যাচ্ছে দেশ জননী আমার।
পোশাকধারীরা নিষ্ঠার শপথ নিয়ে
নমরুদের দরজায় দাঁড়িয়েছে পাহারায়
মিথ্যের স্বয়ম্ভু রাজরাণী আরো কতখানি গেলে
শকুনি মামার মৃত্যুভূমি খুঁজে পাবে
মায়াকান্নায় ফুটবে তখন নার্সিসাসের ফুল।
কোম্পানির সনদ পেরিয়েছে সীমানা
লিমিটেড কোম্পানি নাকানিচোবানি খেয়ে
শুকরের সাথে হেঁটে যায়
স্বাধীনতা বেঁচে খাওয়া বণিক হারমাদ
পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখো
দেশের আঠারো কোটি মানুষ এখন
শহীদ আবু সাঈদের চিতিয়ে ধরা বুক
৩০ জুলাই ২০২৪