তুই এখন যা
অনেক তো নিলি স্বাদ চুম্বনের
মানুষের ওষ্ঠে-ওষ্ঠে দিলি ছড়িয়ে বিষাক্ত ঘা
তুই এখন যা ।
তোর নিঃশ্বাসে বিষ, আশ্বাসে নেই ভরসা
কথায়-কথায় ঘৃণা, ছড়িয়ে পড়ে ঈর্ষা
জিঘাংসার আগুন জ্বলে দৃষ্টিতে
তুই প্রতারক, তুই হিংসুক–
যেখানে যাকিছুই করিস বয়ান
প্রত্যেকটি উচ্চারণই তোর মিথ্যুক ।
প্রতিটি শব্দেই উৎকট গন্ধ
প্রত্যাশার প্রত্যেক কপাটে পড়েছে খিল
প্রতিটি দরজাই আজ বন্ধ ।
এমন এই গুমট আবহ আর সহনীয় না
অনেক হয়েছে, তুই এবার যা ।
দীর্ঘ রক্তপাতের পর এই দুখিনী বাংলাদেশে
যারাই চেয়েছিলো স্বাধীনতা প্রকৃত,
অবাধ কর্ম ও ধর্মের অধিকার নিয়ে
চেয়েছে জীবিকা, প্রার্থনার সুখ–
তাদেরকে তুই করেছিস নির্বাসিত
অনিশ্চিত বিমুখ ।
মুখে তোর খই ফোটে, শব্দগুলি ভয়ার্ত
আর সেইসব উদ্ভট কাহিনি, যাকিছু প্রয়াত ।
অনেক কেঁদেছিস তুই নির্লজ্জ ভঙিতে
বিষণ্নতার নেকাবে ঢেকে মুখ,
কতোবার তুই অশ্রুপাতে
দেখালি চোখের একই অসুখ।
বিস্বাদ রক্তে যখন ওষ্ঠ করেছিস লাল
অনেক প্রাণ হয়েছে নিখোঁজ
দুর্যোগে গেছে ঢেকে অনেক সকাল,
ধূলিস্যাৎ আজ লক্ষ চোখের স্বপ্ন
পাখিদের মতো উড়তে-চাওয়া স্বাধীন শব্দ
সকল আগামিকাল।
এখনো খুঁজিস তবু পুঁজ, আঠালো কষের
দগদগে ঘা– এবার তুই যা ।
মিথ্যা আশ্বাসের অনারোগ্য রোগে
সংক্রমিত আজ গোটা বাংলাদেশ
মানুষের ওষ্ঠে-ওষ্ঠে ছড়িয়ে গেছে বিষাক্ত ঘা
এবার হয়েছে সময়– প্লিজ, তুই এখন যা ।
৩১.১০.২৩