আজকাল মানুষ খাবার খাওয়ার আগে মোবাইলের ক্যামেরাকে খাওয়ায়। এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। রেস্তরাঁয় খেতে গেলে রকমারি খাবারের ছবি তুলে পোস্ট করেন অনেকেই। কিন্তু বৃটেনের এক যুগল যা করলেন তা সত্যিই নজিরবিহীন! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ হাজার টাকার খাবার অর্ডার করলেন। সেসবের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলেন। খেয়েদেয়ে কেটে পড়লেন! শুনতে যতই অবিশ্বাস্য মনে হোক, এমনটাই ঘটেছে বলে দাবি।
গত ৫ আগস্ট ওয়েস্টবোর্নের লেজি ফক্স রেস্টুরেন্টে আসেন ওই যুগল। খাওয়া দাওয়া সেরে সিগারেট ধরাতে বাইরে যান তারা। আর তার পরই সেখান থেকে সরে পড়েন দুজনে। রেস্তরাঁর মালিক মরিশিও স্পিনওলা জানাচ্ছেন, “ওরা বাইরে বেরনোর পর অন্তত ১০ মিনিট পরে আমরা বুঝতে পারি ওরা কেটে পড়েছেন।” এহেন ঘটনার ধাক্কায় তার ব্যবসা যে রাতারাতি বড়সড় সমস্যায় পড়েছে, সেকথাও জানিয়েছেন তিনি।
স্পিনওলা জানাচ্ছেন, তার ব্যবসা ছোট। তার কথায়, “আমাদের মতো ছোট ব্যবসায় এমন ধাক্কা বিরাট। এই পরিস্থিতিতে একলপ্তে এত অর্থের ক্ষতি অপূরণীয়। আমরা তো আর লোকদের বলতে পারি না, বাইরে সিগারেট খেতে যাওয়ার সময় ওয়ালেট কিংবা ফোনটা রেখে যেতে। কেননা অধিকাংশ ক্রেতাই কিন্তু এমন ধরনের নন। তাই তাদের এমন বলাটা ঠিক নয়।”
ওই দম্পতিকে খাবার পরিবেশন করা এক কর্মী বলছেন, যুগলের হাবভাব ছিল অদ্ভুত। মহিলাটি ছিলেন নেশাগ্রস্ত। সোনালি চুলের ওই মহিলার ঠোঁটে ছিল গাঢ় লাল রঙের লিপস্টিক। রেস্তরার কর্মীরা তাদের পানীয় পরিবেশনের সময় সেদিকে লক্ষ রাখছিলেন। এর পরই দেখা যায়, তারা আচমকা সেখান থেকে সরে পড়েছেন। এদিকে কেবল ওই রেস্তরাঁ মালিকই নন, আশপাশের অন্য দোকানও দাবি করেছে সেখানে খেতে এসে বিল না মিটিয়েই চলে গিয়েছেন ওই যুগল! ফলে বিতর্ক তুঙ্গে।