আধুনিক সময়ে বাজারে গেলেই আমাদের প্রায়ই ঠকতে হয়। এর বড় কারণ ভেজাল। প্রায় সব জিনিসেই ভেজাল মেশানো হয়। আর না বুঝেই আমরা সেগুলি কিনে বাড়ি নিয়ে আসি। এই ভেজাল গুলির জন্য দামে ঠকতে হয়, তা শুধু নয়। এই জিনিস খেয়ে অনেক সময় শরীর খারাপও হয়।
যেমন ধরা যাক মধু। এটি শুধু রান্নায় দিতে লাগে না। এর বাইরেও নানা কাজে মধু লাগে। সর্দিকাশি ও গলার সংক্রমণ হলে মধু খেতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাতেই যদি ভেজাল থাকে, তাহলে তো বিপদ। আর থাকেও। মধুতে ভেজাল বেশ ভালরকম থাকে। তাহলে সঠিক মধু চিনে কিনে আনবেন কী করে? এর জন্য কয়েকটি টিপস মনে রাখলেই হবে।
মধুর ফেনা: মধু চেনার আসল উপায় হলো এর ফেনা হচ্ছে কি না। আসল মধুতে কখনও ফেনা তৈরি হয় না। নকল মধুতে তা হয়। কিন্তু কীভাবে পরীক্ষা করবেন ? এর জন্য একটি গ্লাসে কিছুটা মধু নিয়ে তাতে ২-৩ চামচ ভিনিগার মিশিয়ে দিন। ফেনা হলে বুঝবেন মধুটা নকল।
পানির সঙ্গে মিশছে কি না: মধু পানির সঙ্গে মিশে গেলে তা নকল মধু। আর পানির সঙ্গে না মিশলে তা আসল মধু। এর জন্য এক গ্লাস পানিতে কিছুটা মধু নিয়ে নাড়তে হবে কিছুক্ষণ। মিশে যাচ্ছে কি না তা দেখতে হবে।
চিনি জমছে কি না: সাধারণত নকল মধুতে চিনি মেশানো হয়। এই চিনি অল্প সময়েই পাত্রের নিচে জমা হতে থাকে। তেমনটা হচ্ছে কিনা দেখে নিন। চিনির অধঃক্ষেপ জমতে থাকলে ওই মধু নকল বুঝতে হবে।
আগুন ধরিয়ে পরীক্ষা: আসল মধু আগুন ধরালে সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে যায়। কিন্তু নকল মধুতে আগুন ধরালে জ্বলবে না সহজে। একটি কাগজ মধুতে ভিজিয়ে দেশলাই কাঠি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ধরুন। যদি দ্রুত আগুন না ধরে, তবে বুঝতে হবে সেটি নকল।
ব্লটিং পেপার নিয়ে পরীক্ষা: মধুর মধ্যে একটি ব্লটিং পেপার দিন। ব্লটিং পেপার যদি মধু শুষে নেয়, তাহলে ওটি আসল মধু নয়। কারণ আসল মধু ব্লটিং পেপার শুষে নিতে পারে না পুরোপুরি।