প্রায় এক যুগ পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে উড়লো তুরস্কের পতাকা।
২০১২ সালে দামেস্কে নিজেদের দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে আঙ্কারা। তবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর দামেস্কে পুনরায় চালু হয়েছে তুর্কি এই কার্যক্রম। এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
এতে বলা হয়, দূতাবাসে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে মৌরিতানিয়ায় নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত বুরহান কোরোগলুকে। গত বৃহস্পতিবার কোরোগলুকে দামেস্কের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক বার্তায় দূতাবাসের একটি ছবি পোস্ট করে সবাইকে অভিনন্দন জানান তিনি। পুনরায় দামেস্কে তুরস্কের কার্যক্রম চালু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হাকান ফিদান।
সিরিয়ায় তুরস্কের দূতাবাস রাওদা স্কয়ারের কাছে অবস্থিত। যেখানে তুরস্ক ছাড়া অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক মিশনও রয়েছে।
২০১১ সালে গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীদের ওপর আসাদ সরকারের দমন-পীড়ন শুরু হওয়ার পরও কিছুদিন দামেস্কে দূতাবাস চালু রেখেছিল তুরস্ক। কিন্তু পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে ২০১২ সালের ২৬ মার্চ সিরিয়াতে দূতাবাসের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয় তুরস্ক।
গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখলের পর স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতন হয়। তিনি পালিয়ে রাশিয়ায় চলে যান। এর পরপরই পুনরায় দূতাবাসের কার্যক্রম চালু করলো আঙ্কারা। আসাদের পতনের মাধ্যমে তার দল বাথ পার্টিরও দীর্ঘ শাসনের অবসান হয়েছে। আসাদ প্রায় ২৪ বছর ধরে সিরিয়াকে শাসন করেছেন।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাজ এক্সের এক বার্তায় বলেন, এক যুগ পর সিরিয়ায় তুরস্কের দূতাবাসের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়াতে আনন্দিত তুরস্কবাসী। দামেস্কে দূতাবাস চালুর মাধ্যমে সিরিয়ার সঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি ও সহযোগিতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ আরও মজবুত হয়েছে বলে মনে করেন সেভদেত। তুরস্কের সঙ্গে সিরিয়ার কূটনৈতিক তৎপরতা দেশটির নাগরিকদের জীবনে স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।