নেপালে সদ্য-সমাপ্ত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালীন বাংলাদেশের সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে কোচ পিটার বাটলারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে দলের ভেতর-বাইরের পরিবেশ আদর্শ না থাকলেও শিরোপা ঠিকই ধরে রেখেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, তারা বাটলারকে ধরে রাখতে আগ্রহী।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের সাবেক ফুটবলার বাটলারের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি আছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে বাংলাদেশ দলের আর কোনো ম্যাচ নেই। মেয়েদেরকে শিরোপা জেতানোর পরপরই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ থেকে বাটলারের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষে চলে যাওয়ার ইচ্ছার খবর উঠে এসেছে দেশের বেশ কিছু গণমাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে একটি ইংরেজি দৈনিককে কিরণ অবশ্য বলেছেন, বাটলারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চায় দেশের ফুটবলের শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফে, “আমি বাটলারকে অনুরোধ করেছি আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। সেদিন আমি দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (এএফসি) কংগ্রেস থেকে দেশে ফিরব। পরদিন আমি তার সঙ্গে আলোচনায় বসব। সমস্যা সমাধান করার জন্য নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালে কী কী ঘটেছিল তা জানব। ডিসেম্বরে তার চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও তাকে আমরা হারাতে চাই না। কারণ, আমাদের আনা কোচদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে সেরা।”
কোচ-ফুটবলারদের দ্বন্দ্ব নিয়ে তার মন্তব্য, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, “যদি মেয়েরা দায়ী থাকে, তাহলে তাদেরকেও পরিণতি ভোগ করতে হবে। কারণ, একাদশে কে খেলবে বা না খেলবে এটা বলার সম্পূর্ণ এখতিয়ার তার রয়েছে। আগের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনেরও একই অধিকার ছিল। আমরা কোচের কাজে নাক গলাই না।”
গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে হতাশার ড্রয়ের পর সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে বাটলারের মতানৈক্যের বিষয়টি প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপর ভারতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছিলেন বাফুফে কর্মকর্তা কিরণ। নেপাল থেকে বাটলার যদিও তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।