বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন তাবিথ আউয়াল। নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জিতলেন তিনি। এই পদে দুই প্রার্থীর ভোটের লড়াইয়ে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারলেন না আ ফ ম মিজানুর রহমান।
শনিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভার পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন তাবিথ। দুপুর ২টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এর আধা ঘণ্টা পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হিসেবে তাবিথের নাম ঘোষণা করেছেন। এর আগে দুবার বাফুফে সহ-সভাপতি ছিলেন তাবিথ।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর পর দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা পেল নতুন অভিভাবক। ২০০৮ সাল থেকে চার মেয়াদে বাফুফে সভাপতি ছিলেন এবারের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া কাজী সালাহউদ্দিন।
১৩৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১২৮ জন। একাধারে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও সাবেক ফুটবলার তাবিথ পেয়েছেন ১২৩ ভোট। এবারের নির্বাচনের আগে তেমন পরিচিতি না থাকা দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক মিজানুরের মিলেছে স্রেফ ৫ ভোট।
গণমাধ্যমে বাফুফের দেওয়া একটি ভিডিও বার্তায় মেজবাহ বলেছেন, '১৩৩ ভোটারের মধ্যে ১২৮ জন ভোট দিয়েছেন। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে তাবিথ আউয়াল ১২৩ ভোট পেয়েছেন এবং মিজানুর রহমান চৌধুরী ৫ ভোট পেয়েছেন। তাই তাবিথ আউয়ালকে ২০২৪ সাল থেকে ২০২৮ সালের মেয়াদের জন্য বাফুফে সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে।'
নির্বাচন থেকে সালাহউদ্দিন সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় তাবিথের নতুন সভাপতি হওয়া। তিনি ২০১২ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছিলেন। সবশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে একই পদে অংশ নিলেও অনেক নাটকীয়তার পর হেরে যান।
যে পাঁচ কাউন্সিলর ভোট দিতে আসেননি, তারা হলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর তরফদার রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম বিভাগ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের শামসুল হক চৌধুরী, নীলফামারী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আরিফ হোসেন মুন, মৌলভীবাজার জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আকতারুজ্জামান ও হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আব্দুর রহমান।
বাফুফের ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির আরও ১৯টি পদে ভোট হয়েছে এদিন। আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে গেছেন বসুন্ধরা কিংসের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান।