প্রথম টেস্টে পাটা উইকেট বানিয়ে ইংল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিলো পাকিস্তান। চরম সমালোচনায় পড়ে পাকিস্তান বদলে ফেলে কৌশল। স্পিন বান্ধব উইকেট বানিয়ে সাজিদ খান ও নোমান আলিকে দলে নিয়ে বদলে দেয় সিরিজের হিসাব। তৃতীয় টেস্টেও ঘূর্ণি বলের জবাব দিতে না পেরে বড় ব্যবধানে হেরেছে ইংল্যান্ড।
রাওয়ালপিন্ডিতে শনিবার তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই শেষ হয়ে গেছে ম্যাচ। ৯ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিশ্চিত করে স্বাগতিক দল। স্পিন বিষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১১২ রানে গুটিয়ে গেলে মাত্র ৩৬ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় পাকিস্তানের। সাইম আইয়ুবের উইকেট হারিয়ে ওই রান তুলে নেন আব্দুল্লাহ শফিক ও শান মাসুদ।
৭৭ পিছিয়ে থেকে আগের দিন বিকেলে নেমেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো ইংল্যান্ড। ৩ উইকেটে ২৪ রান নিয়ে নেমে কিছুদূর এগিয়েই উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। সবগুলো উইকেটই তুলেন দুই পাক স্পিনার নোমান ও সাজিদ।
প্রবল চাপে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন হ্যারি ব্রুক ও জো রুট। থিতু হতেই তাদের ফেরান বাঁহাতি স্পিনার নোমান। অধিনায়ক বেন স্টোকসকেও ছাঁটেন তিনি। এরপর একের পর উইকেট তুলে ইনিংস মুড়ে দিতে থাকেন সাজিদ।
প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রান করেছিলো ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলো পাকিস্তান। সেখান থেকে সাউদ শাকিলের অনবদ্য সেঞ্চুরি (১৩৪) ও শেষ দিকে নোমান-সাজিদের ব্যাটে উল্টো বড় লিড নিয়ে নেয় তারা। বোলিংয়ের মতন ব্যাট হাতেও দারুণ ভূমিকা রাখেন প্রথম টেস্টে না থাকা সাজিদ-নোমান। নোমান ৮৪ বলে করেন ৪৫, ৪৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন সাজিদ।
প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সাজিদ, দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট পান নোমান। দুই স্পিনার মিলে ম্যাচে নেন ১৯ উইকেট! সাজিদ খান মুলতানে আগের টেস্টেও নেন ৯ উইকেট। দুই টেস্টে ১৯ উইকেট ও ব্যাট হাতে অবদান রেখে হন সিরিজ সেরা।