ঢাকা: রাষ্ট্রপতি পদে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের থাকা না থাকার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে অন্তর্বতী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর একজন উপদেষ্টা জানান “রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিক হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রাষ্ট্রপতির ভাগ্য নিয়ে দেশজুড়ে যখন ব্যাপক আলোচনা চলছে তখন এই সিদ্ধান্ত এল।
গতকাল দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে দলটি বলেছে, এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের পদ শূন্য হলে তা রাষ্ট্রকে সংকটে ফেলবে এবং সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি করবে, যা জাতি চায় না।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গতকাল সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণের জন্য জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় আড়াই মাস পর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। এই বক্তব্যের পর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এরপর রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।
মঙ্গলবার এই দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়। ওই রাতে এক পর্যায়ে বঙ্গভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।