ম্যাচের প্রথম অংশে যে পিচে খাবি খেলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা, সেই একই পিচে পরের অংশে তাণ্ডব চালালেন ভারতের ব্যাটাররা। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে বাহারি সব শট খেললেন সূর্যকুমার যাদব-হার্দিক পান্ডিয়ারা। এতে ওভারপ্রতি দশের বেশি গড়ে রান তুলে ৪৯ বল হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করে ফেলল স্বাগতিকরা। ৭ উইকেটের সহজ জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে গেল এগিয়ে।
হার্দিক ১৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া, অধিনায়ক সূর্যকুমার ১৪ বলে ২৯ ও সঞ্জু স্যামসন ১৯ বলে ২৯ রান করেন।
বাংলাদেশের তিন পেসার মোটেও সুবিধা করতে পারলেন না। প্রচুর রান দিলেন। তাসকিন ২.৪ ওভারে ৪৪ রান খরচায় থাকলেন উইকেটশূন্য। শরিফুল ইসলাম ২ ওভারে দিলেন ১৭ রান। ১ উইকেট নিলেও মোস্তাফিজুর রহমানের ৩ ওভারে উঠল ৩৬ রান। লেগ স্পিনার রিশাদ ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পেলেন না। মেহেদী হাসাম মিরাজ একমাত্র ওভারে ৭ রানে নিলেন ১ উইকেট। বাকিটি রানআউট।
এর আগে বাংলাদেশের স্বীকৃত সাত ব্যাটারের কেবল তিনজন যেতে পারেন দুই অঙ্কের ঘরে। সাতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ ৩২ বলে ৩ চারে সর্বোচ্চ ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২৫ বলে ২৭ রান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ায় ভালো কোনো জুটিও গড়ে ওঠেনি। ২৭ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রানের জুটি আসে শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের তৃতীয় উইকেট জুটিতে। অষ্টম উইকেটে ২১ বলে ২৩ রানের জুটি গড়েন মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। আর জুটিই যায়নি বিশের ঘরে।
ভারতের পক্ষে ৩.৫ ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার আর্শদীপ সিং। রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী সমান সংখ্যক উইকেট নেন ৪ ওভারে ৩১ রান খরচায়। উইকেট থেকে বাড়তি কোনো সুবিধা পেতে দেখা যায়নি বোলারদের।