রাজধানী কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। দিশানায়েকে ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রথম কোনো বিদেশি উঁচু পর্যায়ের কর্মকর্তার শ্রীলঙ্কা সফর।
দিশানায়েকে বাম ধারার। তিনি চীনপন্থি। কিন্তু অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং প্রবৃদ্ধিতে ভারতের পূর্ণাঙ্গ সমর্থনের অঙ্গীকার করেছেন এস জয়শঙ্কর।
শুক্রবার তাদের মধ্যে এই সাক্ষাৎ হয়। এতে ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থ, মৎস্য আহরণ নিয়ে বিদ্যমান বিরোধ, স্থগিত হয়ে থাকা শ্রীলঙ্কার তামিলদের রাজনৈতিক পুনর্বাসন সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন জয়শঙ্কর। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে উপযুক্ত সময়ে দিশানায়েকেকে ভারত সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন জয়শঙ্কর।
২১ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। ২০২২ সালের অর্থনৈতিক সংকট ও গণরোষে সরকারের পতনের পর এটাই প্রথম নির্বাচন সেখানে। এতে চীনপন্থি অনুরা কুমারা দিশানায়েকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার এক পক্ষের মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীলঙ্কা সফরে গেলেন। দিশানায়েকের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার মধ্যে বিরোধী দলীয় একজন এমপি হিসেবে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। সেখানে প্রথমবার জয়শঙ্করের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। আর শুক্রবার দ্বিতীয় দফা তাদের বৈঠক হলো। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিথা হেরাতের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন জয়শঙ্কর।
বৈঠকের পর প্রেসিডেন্সিয়াল মিডিয়া ডিভিশন থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পুনর্বাসন, পর্যটন, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি সেবা এবং ডেইরি শিল্পে ভারতের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা দেবে ভারতের বিশাল বাজার।
কিন্তু কোনো পক্ষই শ্রীলঙ্কার নর্দার্ন প্রদেশে বিতর্কিত আদানি পাওয়ার প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেনি। স্থানীয় জনতা ও পরিবেশবাদীদের ঘোর বিরোধিতায় আদালতের রায়ে এই প্রকল্পটি বর্তমানে বাধাগ্রস্ত।