কানপুর টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারত ব্যাট করল মাত্র ৩১২ বল বা ৫২ ওভার। এতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করে ফেলল তারা। টেস্টে সবচেয়ে কম বল খেলে টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার নতুন রেকর্ড এটি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের ফয়সালা হয়েছে মঙ্গলবার। বাংলাদেশকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আড়াই দিনের বেশি সময় বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও ৭ উইকেটে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তখনও বাকি ছিল পঞ্চম দিনের অর্ধেকের বেশি সময়।
টেস্টে এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে কম বল খেলে জেতার রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের। গত বছর ডিসেম্বরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে জিতেছিল কিউইরা। তারা খেলেছিল মোট ৪৬১ বল।
কানপুরে ভারতের জয় টেস্ট ইতিহাসে বলের হিসাবে চতুর্থ দ্রুততম। এই তালিকায় সবার উপরে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। ১৯৩৫ সালে ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের পথে তারা দুই ইনিংস মিলিয়ে স্রেফ ২৭৬ বল মোকাবিলা করেছিল।
গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে থামার পর টি-টোয়েন্টি ঘরানায় খেলে ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। অর্থাৎ ২০৮টি বৈধ ডেলিভারি খেলে রোহিত শর্মার দল। এছাড়া, নো বল ছিল দুটি।
নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায় টাইগাররা এরপর ১৪৬ রানে গুটিয়ে গেলে ভারত পায় ৯৫ রানের অনায়াস লক্ষ্য। সেটা ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭.২ ওভারে মিলিয়ে ফেলে তারা। মানে দাঁড়ায়, দ্বিতীয় ইনিংসে তাদেরকে খেলতে হয় ১০৪টি বল।
প্রতিপক্ষ ৫০০ বলের কম খেলে টেস্টে বাংলাদেশকে হারিয়েছে— এমন নজির আছে আরও দুটি। ২০০১ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ড মোট ৪৬৩ বল মোকাবিলা করে জিতেছিল। আর ২০০৫ সালে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে ইংল্যান্ড দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৬৮ বল খেলে জয় পেয়েছিল।
কানপুরে ৩১২ বল খেলে ভারত রান তোলে ৩৮৩। দুই ইনিংস মিলিয়ে তাদের রান রেট ৭.৩৬। কোনো টেস্টে অন্তত ৩০০ রান করা দলের ক্ষেত্রে এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান রেট। আগের রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র ইনিংসে ৫০ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৪০ রান তুলেছিল প্রোটিয়ারা।