খুলনা: গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ শুক্রবার সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার আল ফারুক সোসাইটিতে আয়োজিত রোকন সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা এখনই সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বলতে চাচ্ছি না। তবে এটা বছরের পর বছর হওয়া উচিত নয়, তাহলে আগাছা জন্ম নেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সমাজের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তৃতীয় পক্ষ, জুলুমবাজরা আবারও মাথা তুলে দাঁড়ানোর প্রয়াস চালাতে পারে,” বলেন শফিকুর রহমান।
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “একটি দেশে যারা জনগণের ওপর গণহত্যা সংঘটন করেছে, গণহত্যাকারীদের জনগণের ময়দানে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না।”
জামায়াত আমির আরো বলেন, “রাজনীতি করবে তারা, যারা মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হবে। দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণকে যারা ন্যায়, ইনসাফ, শান্তি ও সমৃদ্ধি উপহার দেবে, রাজনীতি করার অধিকার কেবল তাদের থাকবে-অন্য কারও না।”
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আগের সরকার ঝামেলা করে সৃষ্টি করে গেছে, ধ্বংস করে গেছে। ওইগুলো সংস্কার করে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচন দিক। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে তারা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আপন জায়গায় ফিরে যাক, এটি হচ্ছে জাতির দাবি।”
“এই জন্য আমরা বলছি, এই সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় সংস্কার করতে হবে। সংস্কারের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে—কী কী বিষয়ে তারা সংস্কারে হাত দেবেন, সম্পন্ন করবেন এবং কতটুকু সময় তারা নেবেন। এর জন্য রাজনৈতিক অংশীজন, সুশীল সমাজ, আরও যারা অংশীজন আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে হবে,” যোগ করেন তিনি।
জামায়াত আমির আরো বলেন, “সংস্কারের রোডম্যাপ যথাযথ, সঠিক হলে নির্বাচনী রোডম্যাপও সফল হবে। সংস্কারের রোডম্যাপের পাশাপাশি নির্বাচনের রোডম্যাপও জাতিকে দিতে হবে। অনেকে জিজ্ঞাসা করেন, সময়টা কতটুকু? আমরা বলেছি, সময়টা যৌক্তিক। অযৌক্তিক কোনো সময় নেওয়াও ঠিক হবে না, আমাদের পক্ষে দেওয়াও সম্ভব হবে না।”