বগুড়া: সদর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ সোমবার দিবাগত রাত ৯টায় সদরের গোকুল মাজারের কাছে মিজান হামলার শিকার হন। স্থানীয় বাসিন্দারা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্য বিলুপ্ত জেলা ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, মিজানের সঙ্গে একই এলাকার বৃহিষ্কৃত ইউনিয়ন যুবদলের এক নেতার দীর্ঘ দিনের বিরোধ ছিল। এর আগেও তাদের মধ্যে একাধিকবার মারামারি হয়েছে। আজ রাত ৯টার দিকে গোকুল এলাকায় ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মিজানকে জখম করে।
যোগাযোগ করা হলে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, “কারা মিজানকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। শুনেছি ঘটনাস্থলে আরও একজনের লাশ রয়েছে। পুলিশ সেখানে যাচ্ছে।”
সূত্র জানায়, মিজানের ওপর হামলার সময় লেদু নামে একজনকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে গণপিটুনি দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সে সময় হাসপাতালে সামনে অবস্থান নেওয়া মিজানের শতাধিক অনুসারী পুলিশকে হাসপাতালে প্রবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে রাত ১১টার দিকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিজানের অনুসারীরা হাসপাতালে প্রবেশ করে লেদুকে মারধর করে। সে সময় তারা সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেন এবং যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মেহেরুল সুজনসহ চারজন সাংবাধিককে মারধর করেন। এই ঘটনার পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।