ব্যবহারকারী আগ্রহী না হলে রাজনৈতিক আধেয় বা কনটেন্ট দেখানোর সুপারিশ করবে না মেটা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস। গত শুক্রবার এক ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে ইনস্টাগ্রাম। মেটার বিবৃতিতে বলা হয়, চলমান রিলস নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারী যাদের অনুসরণ করেন না, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসে তাদের পোস্ট করা রাজনৈতিক আধেয় প্রদর্শন সীমিত করা হবে।
ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরি বলেন, “রাজনৈতিক আধেয় দেখার জন্য মানুষের আগ্রহ ও সেগুলো তারা পছন্দ করছেন কি না, সে অধিকার সংরক্ষণ করা ও প্রত্যেকের পছন্দকে সম্মান জানানোই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি আরো জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাজনৈতিক আধেয় প্রদর্শন সীমিত করার এ নীতি কার্যকর হবে। পরবর্তী সময়ে ফেসবুকেও ব্যবহারকারী রাজনৈতিক আধেয় দেখবেন কি না, সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তবে ফেসবুকে কবে নাগাদ রাজনৈতিক আধেয় দেখার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ চালু হবে, তা জানানো হয়নি।
তবে যেসব ব্যবহারকারী সরকার, নির্বাচন এবং সমাজ বা কোনো গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে, এমন আধেয় ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসে দেখতে চান, তারা অ্যাকাউন্ট সেটিংসে গিয়ে সীমাবদ্ধ করার সুযোগটি বন্ধ করে দিতে আপনি কি সক্ষম হবেন? আধেয় প্রদর্শন সীমিত করার এ কার্যক্রম পাবলিক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া এক্সপ্লোর, রিলস, ইন-ফিড রেকমেন্ডেশনসহ যেসব জায়গায় আধেয় সুপারিশ করা হয়, সেখানে নিয়মটি কার্যকর হবে। ব্যবহারকারী যেসব অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করেন, সেসব অ্যাকাউন্ট থেকে রাজনৈতিক আধেয় পোস্ট দেওয়া হলে অনুসরণকারীরা তা দেখতে পারবেন।
মেটা বলছে, কোনো অ্যাকাউন্ট যদি সুপারিশকৃত হিসেবে বিবেচ্য না হয়, তবে সেই অ্যাকাউন্টের কোনো আধেয়ই সুপারিশ করা হবে না। এমনকি সব আধেয় রেকমেন্ডেশন গাইডলাইন ভঙ্গ না করলেও সেগুলো সুপারিশ হিসেবে প্রদর্শিত হবে না। নতুন এ নীতিমালা কার্যকর হলে প্রফেশনাল অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাকাউন্ট স্ট্যাটাস যাচাই করে জানা যাবে, রাজনৈতিক আধেয় প্রদর্শনের ফলে সেই অ্যাকাউন্টের ওপর কোনো প্রভাব পড়েছে কি না।
২০২২ সালে ফেসবুকের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ৩ শতাংশের কম ব্যবহারকারী তাদের ফিডে রাজনীতি-সংক্রান্ত আধেয় দেখেন। এর আগেও অবশ্য ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসে রাজনৈতিক আধেয়কে উৎসাহিত করা হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন মোসেরি। কারণ হিসেবে তখন তিনি বলেন, এ ধরনের আধেয়তে ব্যবহারকারীরা যুক্ত কম থাকলেও মাধ্যমটিকে নেতিবাচক দিকে ধাবিত করতে পারে। সূত্র: দ্য ভার্জ