মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
 
সারাবাংলা
খুলনায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৪





স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স খুলনা ব্যুরো
Friday, 16 February, 2024
5:51 PM
Update: 16.02.2024
6:06:45 PM
 @palabadalnet

শুক্রবার খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার। ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা: পাইকগাছায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় মূল আসামিকে গ্রেফতারের দাবি করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান। 

এ নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-ইমামুল জোয়াদ্দার ওরফে এনামুল, আব্দুস সামাদ, সুমন হালদার ও রাশিদা বেগম।

পুলিশের দাবি অনুযায়ী, এনামুল ধর্ষণ ও লুটের সঙ্গে জড়িত। তার মা রাশিদা বেগম লুট করা স্বর্ণ বিক্রি করেছেন। সুমন হালদার লুট করা স্বর্ণের ক্রেতা। এই তিন জনকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।  বুধবার ভোরে আব্দুস সামাদকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ইমামুলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, গত রোববার সন্ধ্যায় গৃহবধূর বাড়ির পাশের বাগানে ইমামুল নেশা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গৃহবধূকে একা বাড়িতে দেখে ঘরের সানশেড ধরে ছাদের উঠে সিঁড়ি দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। খাবারে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দিয়ে চলে যান। পরে রাত দুইটার দিকে একইভাবে আবার ঘরে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখন গৃহবধূর ঘুম ভেঙে গেলে তার পকেটে থাকা আঠা বের করে গৃহবধূর চোখে ও মুখে লাগিয়ে দেন। গৃহবধূর সঙ্গে ইমামুলের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর গোঙানির শব্দে পাশের বাড়ি থেকে লোকজন সাড়া দিতে শুরু করলে ইমামুল গৃহবধূর কানের দুল ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জনানো হয়, লুট করা কানের দুলটি ইমামুলের মা রাশিদা বেগমের মাধ্যমে চুকনগর স্বর্ণ পট্টির মা জুয়েলার্স নামের একটি দোকানে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। যে কারণে ইমামুলের মা ও দোকানমালিক সুমন হালদারকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ইমামুল একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি তাজা গুলিসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গৃহবধূকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেননি। গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মামলা করেছেন। মামলায় চোখের পাতা ও ঠোঁটে শক্ত আঠা লাগিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। তবে মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি, অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রাতে বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা খোয়া যাওয়ার কথাও মামলায়  উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা, স্বজন ও প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘরের মধ্যে ওই গৃহবধূর গোঙানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে গৃহবধূকে ঘর থেকে হাত-পা বাঁধা ও চোখ-মুখ আঠা দিয়ে আটকানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। যখন তাকে উদ্ধার করা হয়, তখন অচেতন ছিলেন। পরদিন সোমবার সকালে অচেতন অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনেরা। ওই দিন রাতে গৃহবধূর চেতনা ফেরে। গত মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। দুপুরের দিকে কথা বলতে পারলেও সেদিন রাতে কী ঘটেছিল, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। তিনি জানান, রাত ১০টার দিকে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। পরে চেতনা ফিরে দেখেন হাসপাতালে আছেন।

পালাবদল/এসএ


  সর্বশেষ খবর  
  সবচেয়ে বেশি পঠিত  
  এই বিভাগের আরো খবর  


Copyright © 2024
All rights reserved
সম্পাদক : সরদার ফরিদ আহমদ
নির্বাহী সম্পাদক : জিয়াউর রহমান নাজিম
ফোন : +৮৮-০১৮৫২-০২১৫৩২, ই-মেইল : [email protected]