রাশিয়া হাইপারসনিক জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। কিয়েভ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান গতকাল সোমবার এই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, গত সপ্তাহে কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। আজ এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
প্রাথমিক তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে যে, হামলায় হাইপারসনিক জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রায় দুই বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথমবার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
কিয়েভ সায়েন্টেফিক-রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ফরেনসিক এক্সামিনেশনের পরিচালক ওলেকসান্দার রুভিন তাঁর টেলিগ্রাম পোস্টে এই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া হামলা চালানোর পরে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরাগুলো নিয়ে প্রাথমিক বিশ্লেষণ করে ইনস্টিটিউট এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
জিরকন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি শব্দের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি গতিতে যায়। সর্বোচ্চ এক হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে এটির।
এর আগে ২০২২ সালে পরীক্ষামূলকভাবে জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল রাশিয়া। তখন এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘অপরাজেয়’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনে জিরকনের ব্যবহার নিশ্চিত হলে, পশ্চিমা সামরিক সাহায্য নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে এই অস্ত্রটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের বিমান প্রতিরক্ষার জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমি না সাগর থেকে ছোড়া হয়েছে সে বিষয়ে ওলেকসান্দার রুভিনের বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। তবে তিনি বলেছেন ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ থেকে যেসব চিহ্ন পাওয়া গেছে, তা দেখে মনে হয়েছে কিছু দিন আগেই এটি তৈরি করা হয়েছে।