যুক্তরাষ্ট্রের সবথেকে প্রভাবশালী সাংবাদিকদের একজন টাকার কার্লসন সম্প্রতি রাশিয়া সফর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব উঠে যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎকার নিতেই রাশিয়া গিয়েছেন তিনি। অবশেষে বুধবার ক্রেমলিন নিশ্চিত করেছে যে, আসলেই পুতিনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কার্লসন। এ খবর দিয়েছে আরটি।
খবরে জানানো হয়, মঙ্গলবার পুতিনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান কার্লসন। বুধবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান। ক্রেমলিন নিশ্চিত করার পর কার্লসন নিজেও সাক্ষাৎকারের কথা নিশ্চিত করেন। দ্রুতই এটি প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
কার্লসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, পুতিনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎকারের ‘আনকাট’ ভার্সন প্রকাশ করবেন তিনি। এটি দেখার জন্য কোনো অর্থও প্রদান করতে হবে না কাউকে। মার্কিনিদের কাছ থেকে দেশটির সরকার ও গণমাধ্যমগুলো যে ‘সত্য’ গোপন করে রেখেছে, তা উন্মোচন করতেই এই সাক্ষাৎকার। কার্লসন বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কী বলেন, তা মার্কিন জনগণের জানা খুব জরুরি।
অন্য পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এই যুদ্ধ নিয়ে মস্কোর অবস্থান সম্পর্কে সঠিক খবর দেয়নি। কেনো যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর করদাতাদের অর্থ ইউক্রেনের পেছনে ঢালা হচ্ছে তা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, পুতিনের বক্তব্য তার প্ল্যাটফর্মে কোনো বাধানিষেধ ছাড়াই প্রচার হবে।
টাকার কার্লসন দীর্ঘদিন ফক্স নিউজে কাজ করেছেন। গত বছর ফক্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের সবথেকে জনপ্রিয় টিভি প্রোগ্রামের একটি ছিল তার। এরপর টুইটারে এসে নিজের আলাদা শো শুরু করেন কার্লসন। সেটিও দ্রুত ইন্টারনেটে ঝড় তৈরি করে। কার্লসনের প্রোগ্রামগুলো প্রায়ই নিজের একাউন্ট থেকে শেয়ার করেন ইলন মাস্ক।
কার্লসনের রাশিয়া সফরের খবর পেয়ে মার্কিন লেখক বিল ক্রিস্টল তার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরায় নিষেধাজ্ঞার দাবি তুলেছেন। কার্লসন নিজে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, তাকে সেন্সর করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে পশ্চিমা সরকারগুলো। কারণ, যেসব তথ্য তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে, তাকে ভয় পায় এসব সরকার।